নডরাই (২০২১) বাংলা মুভি রিভিউ/

সিনেমা: ন ডরাই (২০১৯)
পরিচালক: তানিম রহমান অংশু
IMDb : ৭.৩/১০
আমার রেটিং : ৭/১০
কক্সবাজারের সমুদ্র যে এত সুন্দর, এর আগে ইউটিউব বা গুগল থেকে কখনোই ধরা পড়েনি। প্রথমেই চিত্র পরিচালক সুমন সরকারকে জানাই অভিনন্দন। এত গ্ল্যামারাস ভাবে প্রতিটি শট শুট করা, যে সেই চিত্রময়তা থেকে চোখ ফেরানো যায় না। প্লট তো পরের কথা।
বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে প্রথম এই সার্ফিং মুভিতে ভালোবাসাই মূল কেন্দ্রবিন্দু। আয়েশা( সুনেরাহ) দুর্দান্ত সার্ফিং করে।কিন্তু ইসলামিক সমাজব্যবস্থার সংস্কারে বাধা আসার জন্যই হোক, বা ভাই লিয়াকতের হিংসার জন্যই হোক, আয়েশার উন্নতির পথে পড়ে যায় বিরাট বড় একটি পূর্ণচ্ছেদ। লিয়াকত তাকে বিয়ে দেয় গোঁড়া একটি মুসলিম পরিবারে। সেখানে সার্ফিং তো লাটে ওঠেই, সাথে চলে আসে আরও হাজারটি 'যন্ত্রণা'। এটাই ছবির মূল দ্বন্দ্ব। কিন্তু সেই থামাই কি তার শেষ থামা ? এদিকে সার্ফার সোহেল আয়েশাকে ছোট থেকেই ভালোবাসে। দাদার মারের হাত থেকে জীবন ও কেরিয়ারের ঝুঁকি নিয়েও তাকে বাঁচাতে আসে বারবার। আয়েশাও সোহেলকে চায়। কিন্তু সোহেলের জীবনে আবার এস্টার নামের এক বিদেশিনীর আগমন ঘটে। ভালোবাসার এই ভাঙাগড়ার কাহিনীই ন ডরাই। কাহিনীটি বাস্তবের একটি ঘটনা থেকে কিছুটা অনুপ্রাণিত।
জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক তানিম ছবিটা একদম প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে নির্মাণ করেছেন এটা বোঝা যায় । তবে স্ক্রিনপ্লেতে কিছু ঘাটতি নজরে পড়েছে যেমন সোহেল ও এস্টার এর সম্পর্কের ব্যাপারটা আরেকটু বিশদভাবে দেখালে ভালো লাগত। লিয়াকত এর অতীত কিছুটা দেখলেও চরিত্রটি অধিকতর গ্রহণযোগ্য হতো। আমির এর চরিত্রটি পুরোপুরি জায়গা পেল না বলে মনে হলো । সাস বহু এপিসোডগুলো একটু মেলোড্রামাটিক লাগলো ।
অভিনয়ে ফুল মার্কস পাবেন সকলেই ।বিশেষ করে কেন্দ্রীয় চরিত্র আয়েশার ভূমিকায় সুনেরাহ ।প্রথম ছবিতেই মেক আপ না মেখেই এত চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে সম্পূর্ণ বাস্তবময় অভিনয় করেছেন তিনি ।
ছবির সংগীত অসাধারণ; বিশেষ করে মোহনের গাওয়া যন্ত্রণা গানটি রীতিমত রোমহর্ষক।
©Chocolate_Boy