ডোমেইন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও যদি রিনিউ না করি, তাহলে কি হবে ?

ডোমেইন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও যদি রিনিউ না করি, তাহলে কি হবে ?
সহজ হিসাব আপনি ডোমেইন এর মালিকানা হারাবেন। আপনি যদি সত্যিই ডোমেইন রিনিউ না করেন। তাহলে আপনার ডোমেইন এর সাথে কি কি হতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি।
প্রথম ধাপে, অটো রিনিউয়াল গ্রেস পিরিয়ডঃ ডোমেইন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ০ থেকে ৪৫ দিন। এই সময়ের ভিতর ডোমেইন এর মালিক চাইলে রেগুলার প্রাইস দিয়ে রিনিউ করে, মালিকানা ধরে রাখতে পারবে।
দ্বিতীয় ধাপে, রিডিমশন গ্রেস পিরিয়ডঃ রিডিমশন গ্রেস পিরিয়ড ৩০ দিন। এই সময় রেগুলার প্রাইস দিয়ে ডোমেইন রিনিউ করা সম্ভাব নয়। ডোমেইন এর মালিক চাইলে রেগুলার রিনিউ প্রাইস এর থেকে প্রায় ১০ গুণ অতিরিক্ত জরিমানা দিয়ে ডোমেইনটি রিস্টোর করে, মালিকানা ধরে রাখতে পারবে।
শেষ ধাপে, পেন্ডিং ডিলিটঃ ডোমেইন ডিলেট এর সময় ৫ দিন হয়। পেন্ডিং ডিলিট এর সময় শেষ হওয়ার পর ডোমেইনটি পার্মানেন্টলি ডিলিট করে দেওয়া হয় এবং নতুন করে ডোমেইনটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অ্যাভেইলেবল হয়।
তথ্যসূত্রঃ আইক্যান। ডোমেইন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে, কিছু রেজিস্ট্রার কোম্পানির কার্যকলাপ উপরের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নাও হতে পারে।
আরো জেনে রাখা প্রয়োজন, কিছু রেজিস্ট্রার কোম্পানির বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে।
যেমনঃ কিছু রেজিস্ট্রার কোম্পানিতে, ডোমেইন এর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রেগুলার প্রাইসে রিনিউ করার জন্য ১৫ দিন বা ৩০ দিন পর্যন্ত সময় দেয়। নোটঃ রিনিউয়াল গ্রেস পিরিয়ড এর সময় রেজিস্ট্রার কোম্পানি ভেদে ভিন্ন হয়। আমার পরামর্শ থাকবে, ডোমেইন এর মেয়াদ থাকা অবস্থায় রিনিউ বা ট্রান্সফার করুন।
ডোমেইন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর কাস্টমার যদি রিনিউ না করে। তখন কিছু রেজিস্ট্রার কোম্পানি ডোমেইন এক্সপায়ার্ড অকশনে দিয়ে দেয়। এক্সপায়ার্ড অকশন থেকে যিনি সর্বোচ্চ দামে বিড করেন, তিনি ডোমেইনটি কিনতে পারেন।
সাধারণত ডোমেইন এর মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার, ৩০ দিন পর অথবা ৩০ দিনের ৭ দিন আগে ডোমেইন ক্সপায়ার্ড অকশনে চলে যায়। ক্সপায়ার্ড অকশনের সময় কাল ৭ দিন বা ১০ দিন হয়।
কেউ যদি ডোমেইন ক্সপায়ার্ড অকশনে বিড করে বিজয় হয়ে, পেমেন্ট করে এবং ডোমেইনটি যদি না পায়। তাহলে রেজিস্ট্রার কোম্পানির রিফান্ড পলিসি অনুযায়ী টাকা ফেরত দেওয়া হয়। নোটঃ এক্সপায়ার্ড অকশনের নিয়ম গুলো রেজিস্ট্রার কোম্পানি ভেদে ভিন্ন হয়।
এছাড়াও আপনার ডোমেইনটি যদি ভালো কী-ওয়ার্ড এর হয় এবং রেজিস্ট্রার কোম্পানি যদি ডিলেট করে দেয়। তাহলে ব্যাকঅর্ডার করে, অনেকে তা রেজিস্ট্রেশন করার চেষ্টা করবে।
ডোমেইন ব্যাকঅর্ডার বলতে বুঝায়, ডোমেইন মনিটরিং এবং ডোমেইন ট্র্যাকিংয়ের পাশাপাশি ডোমেইন সফল ভাবে নিবন্ধিত করার এক ধরনের সার্ভিস। কাস্টমার যখন ডোমেইন রিনিউ না করে, তখন ডোমেইনটি রেজিস্ট্রার কোম্পানি ডিলেট করে দেয়। ডোমেইন ডিলেট হওয়ার সাথে সাথে অনেকেই সেই ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে ক্রয় করতে চায়। অনেক রেজিস্ট্রার কোম্পানি এই নিশ্চয়তা দেয় যে তারা কাস্টমারের পক্ষ হয়ে, ডোমেইনটা অ্যাভেইলেবল হওয়ার সাথে সাথে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলবে।
মনে রাখবেন, সময় যেমন কারো জন্য অপেক্ষা করে না। ঠিক তেমনি ডোমেইন ও কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
আর্টিকেলটি স্পন্সর করেছে, ExonHost কোম্পানি। কোম্পানিটি দেশ ও দেশের বাহিরের মার্কেটে বেশ সুনামের সাথে ডোমেইন-হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইড করছে। কোম্পানিটির সার্ভিস কোয়ালিটি বেশ ভালো এবং 24 ঘণ্টা কাস্টমার সাপোর্ট পাবেন।
আশা করছি, এই তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসবে। আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি, আপনারা সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।