Shakib Khan এর পরে Superstar কে হব?

সুপারস্টার শাকিব খানের পরে এগিয়ে যারাঃ
সবাই এক বাক্যে স্বিকার করেন জনপ্রিয়তায় কিংবা ইন্ডাস্ট্রিতে সবচেয়ে সফল সুপারস্টার শাকিব খান, তার ধারে কাছেও কেউ নেই। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে একাই ঢালিউড কে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।তবে বর্তমান কিছু তারকা শাকিবের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির হাল ধরেছে।তারা হলেন আরিফিন শুভ, সিয়াম আহমেদ,বাপ্পি চৌধুরী,শরিফুল রাজ,সায়মন সাদিক,জিয়াউল রোশান,নীরব হোসেন,ইমন সহ আরো অনেকে।তবে এদের মধ্যে কে এগিয়ে? ভক্ত,কিংবা জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করে শাকিবের পরে বেশির ভাগ চলচ্চিত্র গবেষক,চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও সমালোচকরা রাখেন আরিফিন শুভকে।
📌আরিফিন শুভঃ২০০৯ সালে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হলেও। তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ছিলো ২০১০ সালের জাগো। এর পরের দুটি ছবি "মন বোঝে না, ছায়া ছবি" মুক্তি পায়নি।তবে এর পরের ছবিটি সুপারস্টার শাকিব খানের সাথে "পুর্নদৈর্ঘ প্রেম কাহিনি" ছবিতে ভিলেন হিসেবে অভিনয় করে বেশ পরিচিতি পান ও দর্শক মহলে বেশ প্রসংশা পায় তার অভিনয়।এর পরে পালাক্রমে অগ্নি,তারকাটা,অগ্নি ২, মুসাফির,নিয়তী,প্রেমী ও প্রেমী,আহারে, সাপলুডু কিংবা মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় অভিনয় করে দর্শক গ্রহন যোগ্যতা তৈরি করে।
তবে তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো ব্লকবাস্টার সিনেমা "ঢাকা অ্যাটাক"। যা শুভকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দেয়। এর পর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।শুভর ক্যারিয়ারে অনেক ব্লকবাস্টার, সুপারহিট ছবি না থাকলেও তার প্রতিটি ছবি আলোচনায় থাকে।দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি দেশে মুক্তি পাওয়ার রেকর্ড রয়েছে আরিফিন শুভর সিনেমার।তবে বাংলাদেশে সর্বমহলে গ্রহন যোগ্যতা পায়নি শুভ। অবশ্য এর কারন ও রয়েছে, তার ছবির ধরন অনুযায়ী বাংলাদেশের বেশির ভাগ গল্প নির্ভর,কমার্শিয়াল ছবি পছন্দ করা দর্শকদের সাথে যায় না।কিন্তু শুভ চেষ্টা করে ভিন্ন ধারার ছবি দর্শকদের উপহার দিতে।তরুনদের মধ্যে সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী অভিনেতা ঢালিউডের এই "মাসলম্যান"। তার জুলিতে রয়েছে বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের বহুল প্রতক্ষিত সিনেমা "মুজিব",।যা আরিফিন শুভর ক্যারিয়ারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
📌সিয়াম আহমেদঃ আরিফিন শুভর পরে চলচ্চিত্র সবেষকরা রাখেন সিয়ামকে ।"পোড়ামন ২" প্রথম ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকদের মনে যায়গা করে নেয় সিয়াম। এর পরে দহন,বিশ্ব-সুন্দরী,টান,দামাল,অপারেশন সুন্দরবনে তার অভিনেয় প্রশংসা পায়।তার জুলিতে রয়েছে অসংখ্য পুরস্কার। প্রতিবারই সিয়াম কোনো না কোনো ছবির জন্য পুরস্কার পেয়ে থাকে।
📌বাপ্পি চৌধুরীঃকমার্শিয়াল ছবিতে সুপারস্টার শাকিব খানের পরে যদি কারো নাম আসে সেটা বাপ্পি চৌধুরী।তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ২০১২ সালের "ভালোবাসার রঙ"।তার ক্যারিয়ারের ব্যাপক আলোচনার ছবি না থাকলেও।বাংলাদেশে কমার্শিয়াল ছবির দর্শক সংখ্যা অনেক বেশি যার জন্য প্রেক্ষাগৃহে বাপ্পির অনেক চাহিদা রয়েছে।
সে ধারাবাহিকতায় করোনার মহামারির পর ছবির মন্দার বাজারে ২০২২ সালের প্রথম ব্যাবসাসফল সিনেমা "শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২ "উপহার দিয়েছেন বাপ্পি।বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন এই অভিনেতা।
📌শরিফুল রাজঃ রাজের প্রথম অভিনীত সিনেমা ২০১৬ সালের "আইস্ক্রিম" । এর পরে "নেটওয়ার্কের বাইরে"ওয়েব চলচ্চিত্র তার অভিনয়ে প্রশংসা পায়।এর পরে সিনেমাগুলো পরান, হাওয়া, দামাল এই তিনটি সিনেমা তার ক্যারিয়ারের নতুন মাত্রা যোগ করে,ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে দিয়েছে।এসব সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় করে রাজ প্রত্যাশার চেয়েও বেশি দর্শক ভালোবাসা পেয়েছে।তার চেয়ে রাজ বেশি পরিচিতি পায়, ঢালিউডের গ্লামারাস কুইন "বিশ্ব-সুন্দরী" খ্যাত অভিনেত্রী পরিমনির হাজবেন্ড হিসেবে।
📌সায়মন সাদিকঃ সায়মন সাদিকের প্রথম ছবি ২০১২ সালের জ্বি হুজুর। এর পরের বছর "পোড়ামন" সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক দর্শক জনপ্রিয়তা পান।এর পরে অ্যাকশন জেসমিন, ব্ল্যাক মানি,মায়াবিনী সিনেমাগুলো দিয়ে আলোচিত হন । সাইমন ২০১৯ সালের "জান্নাত "ছবিতে অসাধারণ অভিনয় করে দর্শকদের মনে যায়গা করে নেয় পাশাপাশি এই সিনেমার মাধ্যমে সাইমন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি নিজের জুলিতে নিয়ে নেয়।
📌জিয়াউল রোশানঃ ২০১৬ সালের "রক্ত" সিনেমায় অভিনয় করে তার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু তবে। তেমন কোনো প্রশংনীয় কিংবা আলোচিত সিনেমা তার ক্যারিয়ারে নেই।লুক,বডি,ফিটনেস থাকা সত্ত্বেও ভালো গল্পের অভাবে নিজেকে প্রমান করতে পারছে না। তবে "বেপরোয়া,ককপিট, ও সর্বশেষ অপেরেশন সুন্দরবন সিনেমায় তার অভিনয় দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসীত হয়েছে।সুযোগ পেলে অবশ্যই বাকিদের মতো নিজেকে প্রমাণ করবে।
📌নীরবঃ২০০৯ সালে সুপারস্টার শাকিব খানের পার্শে হিরো হিসেবে "মন যেখানে হৃদয় সেখানে" সিনেমার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়।তবে তার ক্যারিয়ারে তেমন আলোচিত সিনেমা নেই বললেই চলে।বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতে তার পারফরম্যান্স প্রশংসা পেয়েছে।
📌ইমনঃ২০০৭ সালে "দারুচিনি দ্বীপ" সিনেমায় অভিনয় করে চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার শুরু হলেও। ক্যারিয়ারে তেমন আলোচিত সিনেমা নেই। তবে সুপারস্টার শাকিব খানের সাথে "পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী ২"সিনেমায় পার্শ হিরো হিসেবে তার অভিনয় প্রসংশা পায়।